ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী দুই বিচারককে পুনরায় ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের কাজলের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে বিচারকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল।
এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসা থেকে ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত ফেরত দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক কাজী মোস্তাফা কামালকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৪ আগস্ট বিপুল মাদকসহ বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমণির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হলে নায়িকাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পরে গত ১৯ আগস্ট পরীমণির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আদালতে হাজির করা হলে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পরে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। পর দিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমণি।
পরীমণি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও পাঁচ-সাতটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজ তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় সিনেমা জগতে নিয়ে আসেন।