বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় সহিংসতা, অনিয়ম, গোলযোগ, বর্জন ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে শেষ হল প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্বের ১৬০টি ইউপির ভোট। তবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার দুটি কেন্দ্রকে ঘিরে দুই জনের প্রাণহানি ছাড়া অন্যত্র নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ন কবীর খোন্দকার।
সোমবার ভোট শেষে ইসির মিডিয়া কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
তিনি বলেন, যেসব তথ্য পেয়েছি- আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিছু প্রার্থী ও সমর্থক খুবই ইমোশনাল হয়ে যান। তাদের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই গ্রুপের মধ্যে মহেশখালীতে সহিংসতা ঘটেছে ও কুতুবদিয়ায় দুষ্কৃতিকারীরা ব্যালট ছিনতাই করতে গিয়েছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোট চলাকালে নিহত এ দুই জন হলেন কুতুবদিয়ার আবদুল হালিম ও মহেশখালীর আবুল কালাম।
ইসি সচিব বলেন, এটা খুবই বেদনাদায়ক। নির্বাচনী সহিংসতায় মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ২ জন প্রাণহানি হয়েছে, আরো কয়েক জায়গায় প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া আর সব জায়গায় নির্বাচন সুষ্টুভাবে হয়েছে। তিনি জানান, কুতুবদিয়ায় একদল সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়। তখন আইন শৃঙ্খলাবাহিনী গুলি করে, সর্বোচ্চভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়। অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার নিয়ে প্রাথমিক পাওয়া তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইভিএমে ইউপিতে অন্তত ৫০% ভোট পড়েছে। পৌরসভায় ৫৫% এর বেশি ভোট পড়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে যেসব জায়গায় ভোট পড়েছে তাতে ৬৫% এর বেশি ভোট হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউপিতে ঘরে ঘরে নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থী যারা রয়েছেন তারা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান, নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে অকস্মাৎ নিজেদের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটে যেতে পারে।