বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তির প্রার্থনা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটির আইনি মতামত চেয়ে আমাদের কাছে (আইন মন্ত্রণালয়ে) এসেছে। আমরা এ আবেদনের আইনি বিষয় পর্যালোচনা করে দেখে মতামত দিয়েছি। মতামতটি আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অনুমোদন সাপেক্ষে আবেদনটি নিষ্পত্তি করবে।’
আবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অসুস্থতার গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনে মতামত দিয়ে সেটি মঙ্গলবার আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তিনি দেশে আসার পর খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে জানা যাবে।