‘একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না’

Slider জাতীয়


জনগণের সেবক হিসেবেই তৃণমূলের বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। আজ রোববার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় বিনামূল্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

যেখানে জমি পাওয়া যাবে না, সেখানে তহবিল থেকে জমি কিনে দেওয়া হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোথাও কেউ গৃহহীন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা তাদের ঘরবাড়ি করে দেব। আমি মনে করি, এতটুকু করলে আত্মা শান্তি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি, বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করব। এর জন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘বস্তিবাসীর জন্য ঢাকায় ভাড়ায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমরা তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা। তৃণমূল মানুষের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করছি।’

এরপর সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে আমি যেহেতু যেতে পারিনি। আমার পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ডিসি এবং ইউএনও জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন।’

প্রসঙ্গত, আশ্রয়ণের দেওয়া জমির দলিলে মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে স্থায়ী দলিলের পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলাও দেওয়া হয়েছে। সেমিপাকা এসব বাড়িতে আছে দুটি রুম, একটি বড় বরান্দা, রান্না ঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে এসব পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *