চল বাদাম খাই!

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

ঢাকাঃ আমরা অনেকেই অলস সময়ে বাদাম খেতে পছন্দ করি। একটার পর একটা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে মুখে পুরে খেতে খেতে যেমন কারও জন্য অপেক্ষাটা বোরিং হয় না তেমনি প্রয়োজনীয় কথাগুলোও বেশ দারুণ ভাবেই বলা যায়। তবে আপনি জানেন কি, আপনার পার্কের বা অলস সময়ের সঙ্গী বাদামের কত গুণাগুণ রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক…

চেহারায় উজ্জলতায়: ত্বকের পাশাপাশি চিনাবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চিনাবাদামে আছে মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বককে উজ্জল করে দেয়।

প্রোটিন সমৃদ্ধ: বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শারীরিক বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কোনও কারণে দুধ পান করতে না পারেন তবে চিনাবাদাম খাওয়া আরও ভালো বিকল্প।

ওজন কমাতে: আপনি যদি ওজন কমাতে আগ্রহী হন, তবে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই বাদাম রাখতে হবে। বাদামে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে, যেটি ওজন বাড়ানোর একটি প্রধান কারণ।

হৃদরোগ দূর করে: চিনাবাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজগুলি পরিপূর্ণ থাকে। এটি স্ট্রোক এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে। চিনাবাদামে উপস্থিত ট্রাইপটোফান হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও সহায়ক।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস: চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরল থাকে যা বিটা-সিটোস্টেরল নামে পরিচিত। এই ফাইটোস্টেরল ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার চিনাবাদাম খাওয়া নারী এবং পুরুষদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: ডায়াবেটিস রোগটিকে সারা জীবনের সঙ্গী হিসেবে নিয়ে নিতে হয়। একে নির্মূল করার এখনও কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে বাদামে থাকা প্রচুর মাত্রায় খনিজপদার্থ, ফ্যাট, শর্করা, বিপাক, ক্যালসিয়াম শোষণ এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, চিনাবাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে যায়।
হাড়ের শক্তি বাড়ায়: মাত্র একমুঠ বাদাম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, প্রোটিন, জিঙ্ক ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। আর এগুলো সবই হাড়ের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে প্রমাণ পেয়েছে একটি সমীক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *