ঢাকার অদূরে তুরাগ নদীর পাড়ে নতুন শহর তৈরি এবং পুরান ঢাকাকে পুনঃনির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, `তুরাগ নদীর তীরে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন শহর তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। এছাড়া পুরান ঢাকাকে নতুনভাবে পুনঃনির্মাণ করার মাধ্যমে এমনভাবে সাজানো হবে যেখানে সত্যিকার অর্থে দেখার মতো একটি শহর হবে।’
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরের খালগুলোকে দখলমুক্ত করে নগরবাসীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক বাসযোগ্য শহর উপহার দিতে যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই স্বপ্নের ঢাকা বিনির্মাণ করা হবে।’
‘যদি হাতিরঝিল থেকে বনানী, হাতিরঝিল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং অন্যান্য খালগুলোকে একটির সাথে অন্যটির সাথে সংযোগ করা যায় তাহলে অবশ্যই আমাদের ঢাকা বিদেশের চেয়েও দৃষ্টিনন্দন হবে। এই স্বপ্ন পূরণে আমরা সবাই নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাত ধরে ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমানা সমস্যার সমাধান না হলে এ দুই দেশকে ট্যাক্স না দিয়ে কোনো জাহাজ চট্টগ্রামে আসতে পারতো না।’
সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান এবং এস এম মান্নান কচি বিশেষ অতিথি ছিলেন।