ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মেয়র তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। তিনি বলেন, আমি তাকে বলব, রাঘব-বোয়ালদের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শনিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত অবৈধ দোকানদারদের উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধনে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। খোকন বলেন,ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। অপরদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না।
সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাঈদ খোকন কমসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এসব দোকানের বৈধতা দিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘ফুলবাড়িয়াসহ গুলিস্তান এলাকার বিভিন্ন দোকানদারদের বৈধতা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। ফুলবাড়িয়া মার্কেটে যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে আমি আগেও বলেছি, এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। কারণ আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে, ব্যবসায়ীদের বৈধকরণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা করপোরেশনের বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলোচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন, বকেয়া ভাড়া আদায়সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ সাত-আট বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করে।’ উচ্ছেদকে অবৈধ উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনা নোটিশে বুলডোজার দিয়ে হাজার হাজার বৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ায় তাদের স্বপ্ন পথে বসে গেল। বর্তমান একগুঁয়ে নগর প্রশাসন কোনো যৌক্তিক নাগরিকের দাবির তোয়াক্কা করে না। আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র হিসেবে এই অবৈধ উচ্ছেদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আল্লাহর পরে আমাদের আশা-ভরসার শেষ স্থান প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই নিঃস্ব ও অসহায় বৈধ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আবেদন জানাচ্ছি।