গত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় চার ৯৬৯ জন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৮ জন। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গতবছর মোট চার হাজার ৯২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত চার ৯৬৯ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৫৮ জন আহত হয়েছেন। ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন পত্রিকা ও শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই মনে করে, সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের প্রতিযোগিতার প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিতে গাড়ি চালানো, লাইসেন্সহীন চালক, পথচারীদের অসচেতনতা, বিরতিহীন গাড়ি চালনা, ফিটনেসহীন গাড়ি চালনা বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, মহাসড়ক নির্মাণে ত্রুটি থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
এ ছাড়া, রেল পথে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩১ জন। ৭০টি নৌ দুর্ঘটনায় ২১২ জন নিহত এবং এক শ জন নিখোঁজ হয়েছেন গতবছর।
গতবছরের জানুয়ারি মাসে ৪৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৫ জন নিহত ও ৮২৩ জন আহত হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ৩৬৫টি দুর্ঘটনায় ৪৩৭ জন নিহত ও ৭৬২ জন আহত, মার্চে ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৪৫৪ জন নিহত ও ৭৬৭ জন আহত, এপ্রিলে ১৩২টি দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ১২০ জন আহত, মে মাসে ১৯৬টি দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ও ২০৬ জন আহত, জুন মাসে ২৬০টি দুর্ঘটনায় ৩৩০ জন নিহত ও ২৩৩ জন আহত, জুলাই মাসে ২২০টি দুর্ঘটনায় ২৮৪ জন নিহত ও ১৯৭ জন আহত, আগস্ট মাসে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত ও ৪২৩ জন আহত, সেপ্টেম্বরে ২১৬টি দুর্ঘটনায় ২৫০ জন নিহত ও ৪০৪ জন আহত, অক্টোবরে ২৩০টি দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত ও ৩৮৭ জন আহত, নভেম্বরে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ৩১৬ জন নিহত ও ৩৭২ জন আহত এবং ডিসেম্বর মাসে ৩৬৩টি দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত ও ৩৯১ জন আহত হয়েছেন। এর বাইরে ৬৮২টি দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি ও রিলিজের পরে ৮২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।