বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ওই চার শিশুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে বলেছেন আদালত। রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ২২শে নভেম্বর আদেশের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
গত ৮ই অক্টোবর রাতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। শিশুদের জামিন, মুক্তি ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চার শিশু, তাদের অভিভাবক, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ওসি, থানার শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা প্রবেশন অফিসারকে ১১ই অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুসারে সংশ্লিষ্টরা আজ আদালতে হাজির হন। আদালতে শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী উপস্থিত ছিল।
গত ৬ই অক্টোবর বিকেলে বাকেরগঞ্জ থানায় ৬ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার শিশুর ববিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো-সাইদুল ইসলাম (১১), সোলায়মান ইসলাম তামিম (১০), হাফিজুল ইসলাম লাবিব (১০) এবং শাওন হাওলাদার (১০)।
তবে শিশুদের বয়স মামলায় উল্লেখিত বয়সের চেয়ে কম হবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের। পূর্ব শত্রুতার জেরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই শিশুদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলার সাথী। গত রোববার বিকেলে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে আসামিরা ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে মামলার আসামি হিসেবে ৪ শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৭ই অক্টোবর বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক মো. এনায়েত উল্লাহ এক আদেশে আসামি চার শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ওই চার শিশুর আহাজারিতে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।