খুলনা: খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরো ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন, মশিয়ালী গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৫) ও মো: গোলাম রসুল (৩৫)। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন সাইফুল, শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিল।
খানজাহান আলী থানার এসআই শওকাত আলী এবং ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মশিয়ালীতে শেখ বংশের জাফরিন, জাকারিয়া ও মিল্টন তিন ভাইয়ের একটি বাহিনী রয়েছে। তাদের সাথে এলাকার ফকির বংশের দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফকিরদের সাথে মিল্টনের মেয়েলি একটি ব্যাপার নিয়ে কথাকাটা কাটাকাটি হয়। পরে ফকিররা ওই তিন ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালাতে যায়। এসময়ে তারা তিন ভাই জাকারিয়ার নেতৃত্বে গণহারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আহত হন ছয়জন।
একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী থানা পুলিশ অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তিনি জাকারিয়া গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের ধারণা, প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এর সূত্র ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, সাইফুল, শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিল গুলিবিদ্ধ হয়। রাত ৯টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার তানিয়া সুলতানা জানান, রাত ৯টার দিকে নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এছাড়া, প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলার ঘটনায় নাম উঠে আসা জাকারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক এবং জাফরিন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।