কলকতা: দমদম বিমানবন্দরের রানওয়েতেই তাদের বসবাস সীমাবদ্ধ ছিল৷ পালছুট কিছু জায়গা করে নিয়েছিল মহানগরীর বনাঞ্চলে ৷ একসময়ে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর রাতের ঘুম শেয়ালের হুক্কা হুয়া ডাকে ভেঙে যেত বলে ঘটা করে বন দফতর শেয়াল বিতারণ করেছিল ৷ এখন এই করোনা লকডাউনের সুবাদে শেয়ালের বংশবৃদ্ধি হয়ে মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ সম্প্রতি বেলগাছিয়ায় আটটি, দমদম স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে চারটি এবং বাঁশদ্রোণীতে পাঁচটি ধাড়ি শেয়াল ধরা পড়েছে ৷ অনুমান করা হচ্ছে কলকাতা শহরে জলাতঙ্ক বা হায়ড্রোফোবিয়া রোগ ছড়ানোর পিছনে এদের অবদান আছে ৷ কয়েকবছর আগে দেশে হাইড্রোফোবিয়ায় মৃতের সংখ্যা দুশো তেইশ৷ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা তিয়াত্তর ৷ জলাতঙ্কের জন্যে শুধু কুকুরকে দায়ি করতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, শেয়াল কুকুরকে কামড়ালে সেই কুকুরের দেহে বাহাত্তর ঘণ্টার মেগভিবডি টিস্যুর জন্ম হচ্ছে ৷ এই টিস্যু কুকুরের শরীরে এমন যন্ত্রণার সৃষ্টি করে যে কুকুর প্রায় আট কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটে বেড়ায় ৷ মুখে লালা ঝরতে থাকে ৷ মানুষকে তখন কামড়ায় কুকুর ৷ দোষ হয় কুকুরের ৷ পিছনের শেয়ালটি অধরা থাকে ৷ লকডাউন শেয়ালের পাল বিস্তার করেছে ৷ আনলক – টু তে কি শেয়াল নিধন?