ঢাকা: করোনা সংক্রমণ, ছাঁটাই, বাধ্যতামূলক ছুটি, অনিয়মিত বেতন। নজিরবিহীন এক সংকটে গণমাধ্যম কর্মীরা। সংকটে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোও। সার্কুলেশন কমেছে প্রিন্ট মিডিয়ার। প্রাইভেট বিজ্ঞাপন নেই বললেই চলে। সরকারি- বেসরকারি বকেয়া বিলের স্তূপ এ সংকটকে করেছে গভীর। এই যখন অবস্থা তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এই আইনে গত দুই মাসে কমপক্ষে ৩৮ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গণমাধ্যমে সংকট নতুন কিছু নয়।
দেশে দেশে সংকটের মধ্যে পথচলায় অভ্যস্ত গণমাধ্যম। কখনো অর্থনীতি কখনো বা রাজনীতি মিডিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে। কিন্তু করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি গণমাধ্যমকে যে সংকটে ফেলেছে তা একেবারেই নজিরবিহীন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা ও চ্যানেলে নিয়মিত বেতন হচ্ছে। বেশ কয়েকটি চ্যানেলে সংবাদসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রেও অনেকে চাকরি হারিয়েছেন গত দুই-তিন মাসে। নিয়মিত বেতন হচ্ছে না বেশির ভাগ পত্রিকা-টেলিভিশনে। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা গত কয়েকদিন আগে করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দ্রুত ছাঁটাইযোগ্য কর্মীদের তালিকা দিতে। পত্রিকাটির এমন পদক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও গণমাধ্যমের শিক্ষকরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন। এর বাইরে বড় একটি মিডিয়া গ্রুপের একটি পত্রিকার বেশ কয়েকজন সিনিয়র সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই ও বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। কর্মীদের বেতন কমানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। ওই পত্রিকাটির একজন সংবাদকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে প্রতিষ্ঠানটিতে। শুধু তাই নয়, কম বেতনে শিক্ষানবিশ নিয়োগ দিয়ে তারা তাদের কাজ চালিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এদিকে আরো একটি পত্রিকা তাদের কর্মীদের বেতন অর্ধেক করে দিয়েছে। তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করলেও চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ কিছু বলছে না। জানা যায়, বেতন অর্ধেক করার ফলে বিশেষ করে যাদের বেতন কম তারা খুবই মানবেতর জীবযাপন করছে। শুধু তাই নয়, বাসা ভাড়া ও পরিবারের অন্যান্য চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। প্রতিষ্ঠানটির একজন সংবাদকর্মী বলেন, বেতন কমানোটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। মালিকরা যখন লাভ করেন তখন তো আমাদের লাভের অংশ দেন না, তাহলে এখন লসের সময় আমরা অংশ নেবো কেন? একটি প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিকও কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এদিকে করোনার শুরু থেকেই একটি পত্রিকা তাদের কর্মীদের বেতন বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাই শুরু করে। এর প্রতিবাদে কর্মীরা আন্দোলনে নামেন। বিষয়টি এখনো পুরোপুরি সুরাহা হয়নি। ব্যতিক্রম নয়, টেলিভিশন চ্যানেলেও। করোনার শুরুর দিকে দু’টি টেলিভিশনে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি চ্যানেলের কর্মীরা আন্দোলন ও কয়েকবার আলোচনায় বসলেও তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে বেশক’টি চ্যানেলের কর্মী ছাঁটাই, বাধ্যতামূলক ছুটির মতো ঘটনা ঘটছে এবং ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মীরা। এই নিয়ে আতঙ্কে আছে গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন পরিস্থিতি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টেলিভিশনগুলো পত্রিকার চেয়ে খারাপ সময় পার করছে। নাটক, টেলিফিল্ম কিছুই নেই। পুরাতনগুলো আবার নতুন করে চালাচ্ছি। এই করোনার সময় বিজ্ঞাপন আগের তুলনায় নেই বললেই চলে। তাহলে আমরা চলবো কীভাবে? কর্মীদের বেতন দিবো কীভাবে। তিনি বলেন, আমাদের চ্যানেলে বর্তমানে কোনো আয় নেই। মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠানকে থেকে আমাদের বেতন দিচ্ছে।
প্রথম সারির একটি পত্রিকার সার্কুলেশনে কাজ করেন এমন একজন কর্মী বলেন, সার্কুলেশনের সংখ্যাটা কারণবশত উল্লেখ করতে পারছি না। তবে আমাদের সার্কুলেশন অনেক কমেছে। করোনার প্রথম দিকে অর্ধেকেরও অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন একটু বাড়তির দিকে। মানুষের মধ্যে প্রথমে আতঙ্ক কাজ করছিলো পত্রিকার মাধ্যমে করোনা ছড়ায় এমন একটা গুজবে। তারপর গাড়ি বন্ধসহ নানা কারণে কমেছে।
এই প্রতিবেদক কয়েকটি পত্রিকা বিতানে খোঁজ নিয়ে দেখেন, পত্রিকা বিক্রির হার অনেক কমেছে। রাজধানীর সিটি কলেজের পাশে সংবাদপত্র দোকানি জাকির হোসেন বলেন, পত্রিকা বিক্রি আগের তুলনায় অনেক কমেছে। করোনার আগের তুলনায় এখন অর্ধেকও বিক্রি হয় না। খুব খারাপ অবস্থা চলছে। পত্রিকা মানুষ কেনে না বললেই চলে। এদিকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালের পাশে সংবাদপত্র বিক্রেতা তানিম মিয়া জানান, তিনি প্রায় একশ’টি বাড়িতে সংবাদপত্র পৌঁছে দিতেন, এখন সেটি নেমে এসেছে ত্রিশটিতে। তিনি বলেন, মানুষের কাছে টাকা নেই, পত্রিকা কিনবে কীভাবে।
গত দুই দশকে গণমাধ্যমে পরিবর্তন যা হয়েছে, তার বড় দিক হচ্ছে বেসরকারি টেলিভিশন-রেডিও’র সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখন ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন চালু রয়েছে। আরো ১৫টি সমপ্রচারে আসার অপেক্ষায় আছে। ২৬টি বেসরকারি রেডিও চালু রয়েছে। প্রত্যেক জেলায় রয়েছে কমিউনিটি রেডিও । এদিকে সরকারি বিজ্ঞাপন তালিকাভুক্ত জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সংখ্যা ৭০৭টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৩৬৫টি, মফস্বল থেকে প্রকাশিত ৩৪৭টি পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপন পেয়ে থাকে। এর মধ্যে দৈনিক রয়েছে ৫১২টি। সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে ২৫৪টি সরকারি বিজ্ঞাপন তালিকাভুক্ত পত্রিকা রয়েছে। অথচ বাজারে পত্রিকা আছে ২০-২৫টি। বাকিগুলো অনিয়মিত। কিছু প্রকাশ হয়, কিছু হয় না। আবার দেখা যায়, সরকার ঘোষিত ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন নেই। কিন্তু এসব পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপনগুলোতে ভাগ বসায়। ফলে পেশাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বঞ্চিত হয়। আবার অনেকক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। যে কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত পত্রিকাও ধুঁকছে।
এ থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজার তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার মালিক এই প্রতিবেদককে বলেন, পত্রিকা বের করি মূলত সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য। আমাদের লবিং ভালো আছে, বিজ্ঞাপনগুলো পাই। ভালোই চলে যায়। হাজার দেড়হাজার পত্রিকা বের করলেও সরকারি হিসাবে আমাদের ৮০ হাজার সার্কুলেশন। এখন পত্রিকা আপাতত বন্ধ আছে। বাজারে বিজ্ঞাপন নেই এই কারণে।
এদিকে টেলিভিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদেরও রয়েছে বিজ্ঞাপন সংকট। বিশেষ করে পাঁচ মিশালী টেলিভিশনগুলোর এই সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজ্ঞাপন বাজার ছোট, তার ওপর ফেসবুক, ইউটিউবে বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন আগে থেকেই নিয়ে যাচ্ছে। আর এখন কোনো রকম বিজ্ঞাপন পাচ্ছে। মৌসুমী বিজ্ঞাপনগুলোও পাচ্ছেন না তারা। যার কারণে বাধ্য হয়ে খরচ কমাতে হচ্ছে তাদের।
তবে এতো কিছুর পরেও করোনার ঝুঁকি নিয়ে মাঠে গিয়ে কাজ করছেন ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা গণমাধ্যমকর্মীরা। এই পর্যন্ত ৫১৩ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮ জন, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ১০ জন। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। চালু করেছে হোম অফিস। কোনো কোনো গণমাধ্যম একদিন অফিস, একদিন হোম অফিস চালু করেছে।
চাকরি হারানো বা বেতন নিয়ে করোনার আগে থেকেই সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমগুলোতে এই সংকট ছিলো। করোনার মতো মহামারির সময়ে এসে সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয় অংশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম রক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন দাবি ও প্রস্তাব সরকারের কাছে তুলে ধরলেও পরিস্থিতি উত্তরণে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে, সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের গণমাধ্যমগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠান গড়ার আগে মাঠ জরিপ বা বাজার জরিপ করে আসেনি । ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক জনবল নিয়ে নিয়েছে। কোন স্তরে কি ধরনের দক্ষ লোক লাগবে সেটা তারা ভাবেনি। এছাড়া এসব গণমাধ্যমে কত টাকা আয় হবে বা ব্যয় হবে এই ধরনেরও কোনো নিরীক্ষা ছিলো না। কিন্তু এখন যখন করোনা কালে এসে দেখছে তাদের আয় হচ্ছে না, ফলে তাদের বেতন কমিয়ে দিচ্ছে বা ছাঁটাই করছে। বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে তিনি বলেন, দেখেন এখন তেমন একটা বিজ্ঞাপন নেই। গ্রীষ্মকাল যাচ্ছে কোনো কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপন নেই। ঈদ গেল মেহেদির বিজ্ঞাপন নেই। এগুলো উদাহরণ মাত্র। সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে কয়েকটি চ্যানেল কিছু মাত্র বিজ্ঞাপন পেলেও সবাই পাচ্ছে না। ফলে আয় কমে যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠান মালিক কর্মী ছাঁটাই করছে। কিন্তু কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কমানো আমি সমর্থন করি না। এটা খুব অমানবিক। এই করোনার সময় তারা কোথায় যাবে? যেসব কর্মীকে ছাঁটাই পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তাদেরকে মালিকদের অন্যপ্রতিষ্ঠানে অন্য কোনো জায়গায় আপাতত নিয়োগ দিতে পারে। ফলে তার চাকরিটা যাবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সামপ্রতিক সময়ে করোনার কারণে অন্যান্য খাতের মতো মিডিয়ায়ও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। সাধারণত প্রিন্ট মিডিয়া চলে বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশনে। এখন সার্কুলেশন প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। বিজ্ঞাপনও আসছে না। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পুরোপুরি বিজ্ঞাপননির্ভর। যতটুকু জানি, সরকারের সব সেক্টরে মিডিয়ার বিজ্ঞাপন বাবদ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এর অর্ধেকও যদি সরকার পরিশোধ করত তাহলে অন্তত দু’-তিন বছর মিডিয়ার জন্য কোনো সমস্যা হতো না। তবে তারপরেও গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন কামনো, ছাঁটাই করা, বিনাবেতনে ছুটি দেয়া পুরোটাই অমানবিক। বিজ্ঞাপনের টাকা তুলার দায়িত্ব মালিকদের। আর সাংবাদিকদের দায়িত্ব লেখা। এখন মালিকরা যে সংকট তৈরি করছেন তা খুব খারাপ। মাথাব্যথা বলে যে মাথা কেটে ফেলবেন বিষয়টা এমন না। মালিকরা সংকটটাকে আরো প্রকট করে তুলছে। এই সময় একটা চাকরি চলে গেলে বা বেতন কমালে তারা যাবে কোথায়। বিষয়টি মালিক পক্ষকে ভাবতে হবে। আমরা বার বার সরকারকেও বলছি ও মালিকদেরও বলছি এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, মহামারি ও দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি সঠিক তথ্য মানুষকে জানানো। এ সময়ে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে গণমাধ্যমকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলা কোনোভাবেই উচিত নয়। এমন অবস্থা হলে গণমাধ্যম খুব সংকটে পড়বে। আর সংকটে পড়লে সঠিক তথ্য বাধাগ্রস্ত হবে। সংবাদকর্মীরা প্রথম সারির যোদ্ধা। অন্যদের নানারকম প্রণোদনা, সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অথচ এ খাতকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অসংখ্য সংবাদকর্মীর জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। গণমাধ্যমের এই সংকট শুধু গণমাধ্যমের নয়, এই সংকট রাষ্ট্রে। তাদের সচ্ছলতা নিশ্চিত না করলে তারা রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে না। সাংবাদিক হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে আইন থাকে অন্যায় রোধ করার জন্য। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধের জন্য নয়।