বগুড়ার ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে সহিদুল ইসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১ টায় ওই শিক্ষকের শয়ন ঘরে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান পিপিএম জানান, রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে পীরহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহিদুল ইসলামের সাথে (২৭) দেড় মাস আগে চালাপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী তালুকদারের মেয়ে বাটিকাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সীমা আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরও সীমা আকতারের সাথে তার পরকীয়া প্রেমিক গোপালপুর খাদুলী গ্রামের খোরশেদ আলম বাবলুর ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহো চলছিল। এ অবস্থায় রবিবার রাতে সহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সীমা আকতার শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাত এক টায় দুর্বত্তরা সীথ কেটে ঘরে ঢুকে সহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। সোমবার সকাল ১০ টায় সহকারী পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায় ও ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্ত্রী সীমা আকতার ও প্রতাপ খাদুলী গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আলীর ছেলে বিএনপি নেতা শফিউল ইসলাম জ্যোতিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় নিহত সহিদুল ইসলামের ভাই সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।