ঢাকা: রাজধানী ঢাকার শাহজাহান পুরে একটি ঔষুধ ফার্মেসী থেকে ৩০০কিট সহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। ঔষুধ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চীন থেকে এসব কিট আনার কারণে তাদেরকে দন্ড দেয়া হয়। চীন থেকে আনা এসব অনুমোদনহীন টেস্টিং কিট অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় করার সময় র্যাব তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। ৩জনকে আটকের পর র্যাবের ভ্রাম্যমান তাদের দন্ড দিয়ে ২লাখ টাকা জরিমানাও করে। আসামীরা এই সকল টেস্টিং কিট চীন থেকে এনেছেন বলে জানায়। তবে ঔষুধ প্রশাসন বলছে, এসব কিট আনার বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
পুলিশ জানায়, অবৈধভাবে করোনা ভাইরাসের টেস্টিং কিট মজুদ ও ক্রয়-বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে এক বছর নয় মাস করে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে রাজধানীর রাজারবাগ সংলগ্ন শহীদবাগ এলাকায় এ অভিযান চালনো হয়। অভিযানে তিনজনকে এক বছর নয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যামাণ আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পলাশ কুমার বসু জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ২ নম্বর গেটের বিপরীত গলিতে শহীদবাগ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে করোনা ভাইরাসের টেস্টিং কিট মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০০টি করোনা টেস্টিং কিট জব্দ করা হয়, যা তাদের কাছে রাখার সুযোগ নেই।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া করোনা ভাইরাসের টেস্টিং কিট মজুদ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে ওষুধ আইন অনুযায়ী প্রত্যেককে ১ বছর ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর অন্য একটি এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।