বগুড়া করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
বগুড়া: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় নয় মাস পর বগুড়া আসছেন। কিন্তু এবারও কোনো দলীয় কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তিনি শনিবার রাতে বগুড়ায় পৌঁছে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করে কাল রোববার জয়পুরহাটে যাচ্ছেন।
বগুড়ায় রাত্রিযাপন করলেও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় কর্মী-সমর্থকেরা হতাশ।
এর আগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রংপুর ও রাজশাহী সফরের সময় বগুড়ায় এসেছিলেন। সেবারও তিনি বগুড়া সার্কিট হাউসে দুরাত থাকলেও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি।
জেলা বিএনপির সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার গুজব তুলে জেলাজুড়ে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় নিহত কয়েকজনের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে খালেদা জিয়া বগুড়ায় আসেন। সেবার তিনি জয়পুরহাটে যাওয়ার আগে শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে পথসভায় বক্তব্য দেন। জয়পুরহাট থেকে ফেরার পথে তিনি শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়াবাজারে আরেকটি পথসভায় বক্তব্য দেন। এসব পথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সভামঞ্চে ছিলেন জেলা জামায়াতের নেতারা।
ওই সময় মাটিডালিতে পথসভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ওই পথসভার পর তিনি আর বগুড়ায় বক্তব্য দেননি।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় শহরে দুটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে উত্তরাঞ্চল সফরে আসেন। সেবারও বগুড়ায় তাঁর কর্মসূচি ছিল না।
এবার খালেদা জিয়ার কোনো কর্মসূচি না থাকলেও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে ব্যাপক মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ে কাল রোববার সার্কিট হাউস থেকে জয়পুরহাট যাওয়ার প্রাক্কালে বিএনপির চেয়ারপারসনকে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে তাতে নেতা-কর্মীদের হতাশা কাটছে না। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘নয় মাস পর ম্যাডাম বগুড়ায় এসেছেন, অন্তত একটি জনসভার আয়োজন থাকলে ভালো হতো।’
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ম্যাডামের এই সফরে বগুড়ায় কোনো দলীয় কর্মসূচি নেই। তবে ঢাকা থেকে বগুড়ায় আসার পথে এবং পরদিন বগুড়া থেকে জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে ম্যাডামকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাতে রাস্তায় দাঁড়ানোর জন্য নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’