খালেদার কার্যালয়ের জলকামান-পুলিশ ভ্যানের ব্যারিকেড প্রত্যাহার

Slider টপ নিউজ

ঢাকা: দীর্ঘ ১৬ দিন পর অবরুদ্ধ বিরোধী জোটের শীর্ষনেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে জলকামান ও পুলিশ ভ্যানের ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। গত রাত পৌনে তিনটার দিকে একে একে সরানো হয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তার কয়েক গজ উত্তরদিকে আড়াআড়িভাবে রাখা দুটি পুলিশভ্যান ও দক্ষিণ দিকে রাখা একটি জলকামান।  সরিয়ে নেয়া  হয়েছে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যদের। ৮৬ নম্বর সড়কের দুইপ্রান্তে পুলিশের তল্লাশি চৌকিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মোতায়েন রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এদিকে কার্যালয়টিতে এখনও অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন খালেদা জিয়াসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা।

উল্লেখ্য, গত ৩রা জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এর পরপরই কার্যালয়ের সামনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অর্ধশতাধিক নারী পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয় কার্যালয়ের সামনে। কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে একটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান ও উত্তর পাশে আরেকটি জলকামান ও পুলিশ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে দেখতে যেতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের পথরোধ করে পুলিশ। প্রায় আধাঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে ফের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষিত ৫ই জানুয়ারির সমাবেশে যাওয়া ঠেকাতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই একে একে কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুইপাশে এনে রাখা হয় ১১টি ইট ও বালুভর্তি ট্রাক। এরপর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কার্যালয়টিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা না থাকায় ওই রাতেই বাইরে থেকে একটি খাট আনানো হয়। তবে আকারে বড় হওয়ায় ওই রাতে সেটি আর পাতা যায়নি। পরদিন দলের স্থায়ী কমিটির সভাকক্ষে খাটটি পাতা হয়। ফলে ওই রাত সোফায় হেলান দিয়েই কাটান  খালেদা জিয়া।  ৫ই জানুয়ারি দুপুরে কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। বিকাল পৌনে ৪টায় কার্যালয়ের দোতলা থেকে নিচে নামেন তিনি। এসময় বের হওয়ার চেষ্টা করলে খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে পেপার স্প্রে ছোড়ে পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ি থেকে বের হয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যার পর পেপার স্প্রের গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাতেই একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল কার্যালয়ে প্রবেশ তাকে চিকিৎসা দেন। ৬ই জানুয়ারি কার্যালয়ের দুই পাশে বালু ও ইটের ট্রাক সরিয়ে নেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *