ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা: গত সপ্তাহটা ইউরোপের জন্য দু:স্বপ্নেরর মতো কেটেছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার স্বাক্ষী হয়েছে। তার ওপর গতকাল বেলজিয়ামের পুলিশ ও জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়ে গেল। এ দুটি ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৯ জন।
এখন পুরো ইউরোপবাসীর মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউরোপ প্রতিটি দেশেই মনে করে যেকোনো সময় তারাও জঙ্গি হামলার শিকার হতে পারে।
বলা চলে ইউরোপে ‘হাই অ্যালার্ট’ চলছে। বিশেষ অভিযানে বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও জার্মানির নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ফ্রান্সের মতো পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলজিয়ামও।
এর পাশাপাশি সব দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এরমধ্যে নতুন করে আরেকটি ভয় ঝেঁকে বসেছে ইউরোপীয়দের মধ্যে; যেসব তরুণরা মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন তারা ফিরে এলে কি হবে? আশঙ্কা আবারও হামলার শিকার হতে পারে ইউরোপ।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগদান’ এর জন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এদিন পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বন্দুক, বিস্ফোরক, বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং পুলিশ ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়।
এরিক ভ্যান সিপ্ট নামে কৌঁসুলীদের একজন জানান, তদন্তে দেখা গেছে অভিযুক্ত পাঁচজন রাস্তায় ও থানায় পুলিশকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ফ্রান্সের পুলিশ ১২ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। দেশজুড়ে মোতায়েন আছে ১২ হাজারের মতো পুলিশ ও সেনা। হামলায় ফ্রান্সের ১৭ জন নিহত হন।
ফ্রান্সের পাঁচটি শহরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাদের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফ্রান্স ও ইউরোপের এ দুটি ঘটনার প্রভাব ইউরোপের প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যেও পড়েছে। প্যারিসের বন্দুকধারীদের একজন স্পেনে ভ্রমণ করেছে এমন খবরের সতত্য জানার জন্য তদন্তে নেমে দেশটির সরকার।
শুক্রবার জার্মানির পুলিশও ১১ প্রপার্টিজে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে। এককথায় বলা চলে ইউরোপের বাতাসে বইছে জঙ্গি হামলার শঙ্কা।