মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কালীগঞ্জে কোভিড-১৯ সংক্রমণে লকডাউন থাকার কারণে স্থানীয় রিক্সা চালক, নৌকার মাঝি, শীল ও কাজের বুয়ারা শত অভাব অনটনের মাঝেও কাজে বের হতে পারছেনা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘম করতে জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের (পিপিএম) নির্দেশে, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া সার্কেল অফিসার পঙ্কজ দত্তের নেতৃত্বে, কালীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে ২ শত স্থানীয় রিক্সা চালক, নৌকার মাঝি, শীল ও কাজের বুয়াদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, কালীগঞ্জেও সারা দেশের ন্যায় মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। এই কারণে স্থানীয় রিক্সা চালক, নৌকার মাঝি, শীল ও কাজের বুয়ারা শত অভাব অনটনের মাঝেও কাজে বের হতে পারছেনা। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে এবং এই অসহায় মানুষ গুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘম করতে, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের (পিপিএম) নির্দেশে, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া সার্কেল অফিসার পঙ্কজ দত্তের নেতৃত্বে, আমাদের থানা পুলিশের মাধ্যমে কর্মহীন ২ শত স্থানীয় রিক্সা চালক, নৌকার মাঝি, শীল ও কাজের বুয়াদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটা রিক্সা চালক, নৌকার মাঝি, শীল ও কাজের বুয়াদের জন্য যে প্যাকেট করা হয়েছে তারমধ্যে চাল, ডাল, আলু ও তেল ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী রয়েছে।
তিনি আরো জানান, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ইতিপূর্বে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে, সরকারি লকডাউনের পাশাপাশি কালীগঞ্জের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও হাট-বাজার বন্ধ করা হয়েছে। এতে কালীগঞ্জবাসী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের মনে রাখতে হবে- “টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী”।কোভিড-১৯ প্রতিরোধে “আপনারা সাবাই ঘরে থাকুন, আপনি নিজে বাচুঁন, আপনার পরিবার পরিজনকে বাচঁন, অন্যকে বাচাঁর সুযোগ দিন”
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম, এএসআই কাজী কামাল সহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তারা।