মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংকট কাটাতে পণ্য কিনছে ‘স্বপ্ন’

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জলছত্র বাজার এলাকার আশেপাশে বসবাস করেন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আর এসব মানুষদের জীবন ধারণের একমাত্র ভরসা কৃষিপণ্য।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে তাদের সুখের জীবন। এসব উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য বর্তমান সময়ে পাচ্ছিলেন না তারা।ফলে এখানের মানুষজনরা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। এখানকার লোকেরা কলা, লেবুসহ নানান কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন করলেও মিলছিল না পণ্যের সঠিক দাম। আর ওই এলাকার মধ্যে জাঙ্গালিয়া ও নয়নপুর গ্রামের পাশে একমাত্র বৃহৎ ‘জলছত্র বাজার’ টি বন্ধ এক মাসের বেশি সময় ধরে। কিন্তু এরইমধ্যে অনেক কলাচাষীদের কলা পচতে শুরু করেছে।

বেরীবাইদের ইউপি মেম্বার ও বাগান মালিক সনজু সংমা এসব তথ্য দিয়েছেন। আর তার স্ত্রী বিনীতা নকরেকও কৃষিপণ্যের চাষ করছেন। সনজু সংমা ‘স্বপ্ন’র প্রতিনিধি হয়ে সেখানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য মূল্যে কলা ও লেবু বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

আর এই বিষয়ে ‘স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক জানিয়েছেন,”গত তিন বছর ধরেই আমরা নিয়মিত আদিবাসীর চাষাবাদ করা বিভিন্ন পণ্য কিনছি। তবে, এবারের সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তাদের পণ্যগুলো কেউ বাজারে কিনতে পারছিলেন না। এর কারণ তাদের গ্রামের পাশের ‘জলছত্র বাজার’ টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল তাদের। আর, তাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আমি অফিসকে জানাই। অতঃপর অফিসের সিদ্ধান্তেই তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা শুরু করেছি আমরা। এই ‘স্বপ্ন’ এভাবেই দু:সময়ে এবার আদিবাসী চাষীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”

‘স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির আদিবাসীদের কাছ থেকে পণ্য কেনার বিষয়ে বলেছেন, “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সংকটে তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন ‘স্বপ্ন’। আর যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’।”

উল্লেখ্য যে, কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বগুড়া, যশোর সহ দেশের অনেক জায়গায় কষ্টে থাকা কৃষক থেকে পণ্য কিনেছেন ‘স্বপ্ন’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *