সিদ্ধিরগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)-এর একজন উপ-পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, দুইজন সহকারী পরিচালক, সৈনিকসহ ৩৯ জন্য আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ১৭ জন করোনা পজেটিভ হলেও অন্যদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্তরা হলেন- র্যাব-১১’র উপ পরিচালক (স্কোয়াড্রন লীডার) রেজাউল হক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব, সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না। মূলত র্যাবের সদস্যরা জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেছে। ফলে র্যাবের কেউ যদি আক্রান্ত হয় তার থেকে যেন অন্যদের মধ্যে ছড়াতে না পারে সেজন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত র্যাব-১১ এর ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট এসেছেন। তার মধ্যে ১৭ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ আর অন্যদের নেগেটিভ এসছে। এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, র্যাব সদস্যদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলেই হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। এ মুহূর্তে র্যাবের ৩৯ জন সদস্য আইসোলেশনে আছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর এ ১৭ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ।
তিনি আরও বলেন, আমার সহকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাই আমিও নমুনা পরীক্ষা করিয়েছি। আমার রিপোর্টে কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ রাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই র্যাব-১১ এর সদস্যরা করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, মানুষকে সচেতন করা, কর্মহীন ও অনহারে থাকা মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।