যুক্তরাষ্ট্র: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে আরও ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ২৭ এপ্রিল নিউইয়র্ক সিটিতে আরও ৩ এবং নিউ জার্সিতে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
বস্টনে ম্যাসেচুসেট্স জেনারেল হাসপাতালে ১৫ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন চট্টগ্রামের সন্তান সৈয়দ কামরুল বাশার জামি (৫৯)। নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইকবাল ইউসুফ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বস্টনে এই প্রথম একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো করোনায়।
এদিকে, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে মন্টিফিউর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন দক্ষিণ সুরমার সন্তান আমিরুন্নেসা খাতুন (৮৮)।
ম্যানহাটনে মাউন্ট শিনাই হাসপাতালে মঙ্গলবার ইন্তেকাল করেছেন সন্দ্বীপের কাজী আফাজ উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ (৬০)। একইদিন নিউইয়র্কে সন্দ্বীপ সোসাইটির নেতা আব্দুল হান্নান পান্নার শাশুড়ী পারভিন জাফর (৫৮) ও ব্রুকলীনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এ দিন নিউইয়র্কে বাউরিয়া জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. হকের শাশুড়ি বিবি আয়েশা (৬৮)ও ইন্তেকাল করেছেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এবং সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিউইয়র্কের তিনজনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১৮৭ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। এছাড়া বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে হাসপাতাল এবং বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কমপক্ষে ৫ হাজার বাংলাদেশি।
হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে ‘চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন’র নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, ২৭ এপ্রিল সকালে মায়মনিডেস হাসপাতালে মারা গেছেন তার বাবা আলহাজ্ব মোজাফ্ফর ইসলাম (৮৫)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে বহু বছর আগে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। একই এলাকার প্রবাসী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ (৯৪) একই হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন বলে জানান কমিউনিটি লিডার শহিদুল্লাহ কায়সার। কুইন্সের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন বিয়ানিবাজারের সন্তান মঈনউদ্দিন (৬২)। এদিন নিউজার্সির প্যাটারসন সিটিতে মারা গেছেন আলহাজ্ব মোসাব্বির আলী (৭৬)।