আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়ায় করোনা পরিস্থিতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভাল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। এই মুহুর্তে চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সামগ্রির কোন সংকট নেই। বৈশ্বিক এ সংকটে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে সরকার আছে। আরও ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে তিনি এই ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছিলাম কিন্তু করোনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে কিছুটা ধাক্কা আমাদের দেশে আসে। এজন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান বাতিল করি। জনসমাগম বাদ দিতে এসব করেছি আমরা।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত। অন্যান্য জেলায়ও কিছু আছে কিন্তু ঢাকা এবং এর আশপাশে ভাইরাস কেন এত বেশি হলো। এটি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই।
তিনি বলেন, যেহেতু সবকিছু এখন বন্ধ। অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। যারা দিনমজুর কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি নিম্নবিত্তদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। সবাইকে সহযোগিতা করব। এমনকি এটা আমরা শুরু করেছি। মানুষের কাছে হাত পাততে পারে না
যারা, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে, যারা ১০ টাকার চাল পায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও ৫০ লাখ মানুষের রেশন কার্ড করে দেব। আমরা এমনি দিতে গেলে অনেক সময় সমস্যা হয়। সেই ধরনের কিছু ঘটনা ঘটার ফলে এটা স্থগিত করে তালিকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যে অতিরিক্ত ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেব সেখানে আমাদের সামাজিক সুরক্ষা যারা পাচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে যাদের রেশন কার্ড আছে তাদের বাদ দিয়ে করতে হবে। যাদের সত্যিকারের প্রয়োজন তাদের নামটা যেন তালিকায় থাকে। সরকার প্রধান বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড যে যেখানে আছে প্রত্যেকে কিন্তু অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।