ঢাকা: অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, দেশ আজ মহাসঙ্কটের সম্মুখিন। রাজধানী ঢাকা সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে রয়েছে। সরকার যদি মনে করে অস্ত্রের জোরে জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলন দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে তাহলে দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। যা আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এ থেকে উত্তরণে একটি মাত্র পথ রয়েছে আর তা হলো বিরোধী দলের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে অবিলম্বে একটি সুষ্টু নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করা।
আজ রোববার সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আরো উপস্থিত ছিলেন বারের ট্রেজারার মাসুদ আহমেদ সাঈদ, সিনিয়র সহ-সম্পাদক নাসরিন আক্তার প্রমুখ।
খন্দকার মাহবুব বলেন, অবিলম্বে দেশের সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যারা কারাগারে আছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনরত বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তার জীবনকে বিপন্ন করার জন্য নিষিদ্ধ পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সরকারের এসব কার্যক্রমে সারাদেশে গণবিস্ফোরণ দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার বেসামাল হয়ে নির্বিচারে দমন নীতি চালাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েয়ে। হত্যা ও গুম করে দেয়া হয়েছে কয়েকশ মানুষকে।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সভা সমাবেশ করার অধিকার খর্ব করেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নির্বিচারে প্রতিবাদমুখি মানুষকে নির্যাতন, হত্যা ও গুম করছে। এ থেকে আইনের শাসনে বিশ্বাসী আইনজীবীরাও রক্ষা পাচ্ছে না।