সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী শ্রমিকের পরিবারকে ১০ হাজার ডলার বা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সেন্টার (এমডব্লিউসি)। এই অনুদানে ওই শ্রমিকের নিয়োগকর্তা ই-কে ইনোভেশন্স এবং তিনি যে ডরমিটরিতে থাকতেন, সেটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিনি-এনভারনমেন্ট সার্ভিসেস শরিক হয়েছে। এ খবর দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা। খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের ৪২তম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি ছিলেন কাকি বুকিতে বসবাসরত ওই বাংলাদেশি শ্রমিক।
সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে এমডব্লিউসি লিখেছে, ওই শ্রমিক তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই তিনি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায়, তার পরিবার দুর্বিপাকে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমরা তার নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাদেরকে প্রতিনিয়ত অবহিত করি।
ফেসবুকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি সময়মত তার শারীরিক অবস্থার তথ্য জানলে ওই পরিবার এই কঠিন সময়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করবে।
এতে বলা হয়, যে ১০ হাজার ডলারের অনুদান দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে ওই পরিবার তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পারবে। ওই শ্রমিক যতদিন হাসপাতালে থাকবে, তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, মোট ৪ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমডব্লিউসি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য অনুদান দিতে চেয়ে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে, শ্রমিকদের মঙ্গলের বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সাহায্য দেওয়া হবে। যদি তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়, এমডব্লিউসি হয়তো বড় আকারে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেবে।