বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা দাগি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে ঢাকায় এনেছে। বিএনপি নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে তারা ৫শ’ সন্ত্রাসী নিয়োগ করবে বলে জানতে পেরেছি। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির স্বভাবসুলভ যে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাঠে জনগণের আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা বিভ্রান্ত নাবিকের মত আচরণ করছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীর কথাবার্তা এবং আচরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের প্রত্যক্ষ উস্কানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভোট রক্ষার নামে বিএনপি কেন্দ্রে কেন্দ্রে হট্টগোল করা এবং নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। ভোট রক্ষার নামে তাদের এই অভিসন্ধি আমরা জানতে পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, তথ্য পাওয়ার পর আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে করে মানুষ ভোট দিতে পারে। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দেবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন,আমরা তো ভোটের সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে থাকবো। কারও সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করার জন্য নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা দেইনি। আমরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনো রকম সংঘাত-সংঘর্ষে যাবো না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা ক্লিন ইমেজের দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছি। আশা করছি, আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয় এটি প্রমাণিত হয়েছে। সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মন জয় করতে পেরেছে। এটি বিএনপির ভালো লাগছে না। ইভিএমের মাধ্যমে সরকার কারচুপি করার সুক্ষ্ম পথ বের করেছে-বিএনপির এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন,আমি মনে করি কারচুপি ঠেকানোর কৌশল হিসেবে ইভিএম হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। এটা তারা মনে করতে পারে। কারণ তারা এখনও এনালগে রয়ে গেছে। তারা এখনও ডিজিটালে আসতে পারেনি। তারা আধুনিক প্রযুক্তি পছন্দ করে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই অন্ধকারে রয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন,সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।