বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির জন্য ৬৩জন এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৪জন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিস্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও ২২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। এর আগে এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কার ও সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সভায় ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগে আরও ৯জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে এবং তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না, এই মর্মে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদেরকে ইতিপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল এবং ৭-দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশক্রমে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া, সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত ২৫ অক্টোবর সংঘটিত ঘটনায় ২জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচ.ডি. থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।