ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির মামলা হয়নি। দুদক ২০০৮ সালে সম্পদের বিবরণী চেয়ে যে নোটিশ দিয়েছে তার জবাব না দেয়ায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ি থানার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি একথা বলেন।
বেলা সাড়ে দশটায় দয়াগঞ্জ ব্রিজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ৪৮ নং ওয়ার্ড শহীদ জিয়া স্কুল, ধলপুর রোড, সুতি খালপাড়, কাজলা মেইন রোড, ডেমরা রোড, ভাঙ্গা প্রেস, বাঁশপট্টি, শেখদি চৌরাস্তা, শনির আখড়া, মৃধাবাড়ী ক্যানেল রোড হয়ে কোনাবাড়ী এসে যাত্রা বিরতি করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, এসএম জিলানী, তানভির আহমেদ রবিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।
গণসংযোগে ‘ঢাকার ছেলে ইশরাক ভাই- ধানের শীষে ভোট চাই; মাগো তোমার একটি ভোটে- খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে; আসছে দেশে শুভ দিন- ধানের শীষে ভোট দিন; ইশরাক ভাই ভালো লোক- ধানের শীষে দিব ভোট’ ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে সমগ্র এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। এ সময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ হাত তুলে, অনেককে উঁচু দালানের ছাদে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন দিতে দেখা যায়।
বিভিন্ন এলাকায় নারী ভোটাররা দল বেঁধে ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে স্বাগত জানান। ইশরাক হোসেনও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরিতে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মুখিয়ে আছে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য। আমরা যে এলাকায় গিয়েছি সেখানেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি। এ অবস্থা দেখে ক্ষমতাসীনরা বেসামাল হয়ে উঠছে। তারা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ আটছে।
তিনি বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই সরকার ভুয়া একটি মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করছে। আমি গত জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলে একইভাবে এ মামলাটি নাড়াচাড়া শুরু করেছিলো। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কর্মীদের পুলিশে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। তবে আমি এতে ভীত নই।
ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনে এসব বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কমিশন থেকে এখনও কার্যকর কোন উদ্যোগ দেখছি না। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ভুমিকা রাখবে। তিনি বলেন, আজ ইসলামপুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী আবদুল হাই, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা বাবুসহ ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বেশ কয়েক জন আহত হন। দৃঢ়তার সঙ্গে ইশরাক বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক- আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবো। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাবো। কারণ, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা জনগণকে নিয়েই লড়াই করবো।