সেতুমন্ত্রীর উপহার ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ কিনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এরূপ সংগ্রহ কি শুধু সড়ক ও সেতুমন্ত্রীরই, না কি এর স্বরূপ ও বিস্তৃতি আরও ব্যাপক ও গভীর, তা খতিয়ে দেখে দেশবাসীকে জানাবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এ আহ্বান জানান।
এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিলাসবহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ, ও পর্যাপ্ত নয়। বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে’।
যেভাবেই তিনি উপহারসমূহ পেয়ে থাকুন না কেন ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারসমূহ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না কেন।
তিনি বলেন, জমা না দেবার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহারপ্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে কি না? এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।
সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক অবস্থানে থেকে তিনি কি অন্যদের স্থাপিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলেন, না কি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন? এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক না বলে মন্তব্য করেন ড. জামান।
‘মন্ত্রী বলেছেন যে, ঠিকাদারগণ নির্বাচনের সময় ‘একটা অ্যামাউন্ট’ দিতে চেয়েছিল, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সেসব ঠিকাদারদের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে? কাউকে কি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কি কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে?’- জানতে চেয়েছে টিআইবি।
বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা এবং নিজ দলের নেতাকর্মীসহ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এই অঙ্গীকারের সঙ্গে কি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার মতো সৎ সাহসের দৃষ্টান্ত সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।