ঢাকা: দেশের কোথাও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
শনিবার ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব এক সমাবেশে এ হুমকি দেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করার কারণে তারেক রহমান ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গাতেও সমাবেশ করতে পারবে না বিএনপি।
এর আগেও ২৭ ডিসেম্বর বিএনপিকে গাজীপুরে সমাবেশ করতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জান সোহাগ।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক রহমান যে কটূক্তি করেছেন, জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে কোনোভাবেই তাদের সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর ইস্ট লন্ডনের দ্যা অট্রিয়াম অডিটোরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তারেক রহমান বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তাদের দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল অথচ চোরের দল, চাটার দল আখ্যা দিয়ে শেখ মুজিব নিজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এমন একটি কাজ করার জন্য তাহলে তো শেখ মুজিবই বড় রাজাকার। বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকালীন দল বটে তবে মুক্তিযুদ্ধের দল নয়। এ দলের অধিকাংশ নেতাই মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশ নেননি।
এ বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন আদালতে তারেক রহমানের নামে ডজনেরও বেশি মানহানির মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। এসব মামলার কয়েকটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগের র্যালির কারণে ছুটির দিনেও রাজধানীর একাংশে চলাচলে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
শনিবার দুপুর থেকে শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোডে এই যানজট দেখা যায়, যা কয়েকটি স্থানে বিকেল পর্যন্ত ছিল।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে ছাত্রলীগের র্যালিটি শাহবাগ-কাকরাইল হয়ে বিজয় নগর দিয়ে গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সড়ক আটকে সরকার সমর্থক সংগঠনটির এই র্যালি চলার সময় যান চলাচলের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালি শুরু হলেও তার আগে থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আসতে থাকায় সড়ক যানজট সৃষ্টি হতে থাকে।
বেলা দেড়টায় কাকরাইল মোড়ে রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেলের সামনে ছাত্রলীগের র্যালিটি যাওয়ার সময় বিকট শব্দে বাজতে থাকা হিন্দি গানের সাথে কর্মীদের নাচতেও দেখা যায়। র্যালিতে ছিল ঘোড়ার গাড়িও।