রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে অসহায়দের সুপ্রেয় পানির ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তাদের গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প ‘তারার’ সুফল পেয়েছে উপজেলার গরিব অসহায় ব্যক্তিরা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শ্রীপুর সহকারি প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প ‘তারা’ ৭৩৫টি স্থাপন করা হয়েছে। এর সাথে ১৯৮ টি সাবমারসিবল পাম্প যুক্ত নলকূপ স্থাপন করা হয়। স্থাপন করা নলকূপ ও সাবমারসিবল পাম্প গুলো দরিদ্র, হতদরিদ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজারসহ প্রয়োজনীয় স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। এতে হতদরিদ্রের দীর্ঘদিনের নিরাপদ পানি সরবারহের দাবি পূরণ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ হত দরিদ্রের সুপ্রেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) অধিদপ্তর। কথা হয়েছে উপকারভোগী কয়েকজন মানুষের সাথে। এর মধ্যে কথা হয়েছে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের সর্বস্ব হারানো হালিমা বেগমের সাথে। তিনি জানান, বিচার না পেয়ে আমার স্বামী ও মেয়ে আত্মহত্যা করার পর আমার সর্বস্ব হারিয়েছি। সুপ্রেয় নিরাপদ পানি খাওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। পরে সরকারি ভাবে আমাকে একটি সাবমারসিবলসহ গভীর নলকূপ দেয়ায় নিরাপদ পানি খেয়ে বেঁচে আছি। কথা হয় টেংরার বিধবা আম্বিয়া বেগমের সাথে। তিনি জানায়, নিঃসঙ্গ জীবনে খেয়ে পড়ে জীবন পার করা অনেক কষ্ট। অভাব অনটন থাকায় তিনি নিরাপদ পানি মানুষের বাড়ি থেকে এনে খেতেন। পরে সরকারি ভাবে সাবমারসিবল পাম্মসহ গভীর নলকূপ পাওয়া সকল কষ্ট লাগব হয়েছে তাঁর। এরকম আরো অকেনের সাথে কথা হয়েছে। যারা সকলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শ্রীপুরের সুফল ভোগ করেছেন। সকলে বর্তমান সরকার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড় সাফল্য অর্জন বলেও মনে করছেন।
গাজীপুর ভাওয়াল নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহান শাহবুদ্দিন বলেন, হতদরিদ্রের জন্য সরকারের নেয়া যে কোন প্রকল্প সফল পায় তখনই যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঠিক ভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হন। সরকারের এমন সাফল্য আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শ্রীপুরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী তদবীরুর রহমান বলেন, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করে থাকে বর্তমান সরকারের ‘আমার শহর, আমার গ্রাম’ প্রকল্প। সেটি বাস্তবায়ন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আমরা উপজেলার প্রতিটি দরিদ্রদের আমাদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবো আস্তে আস্তে।
স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, বর্তমান সরকার এসডিজি লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের লক্ষ নিয়ে আধুনিক মানবিক উপ-শহর গড়ে তুলা হচ্ছে। সরকারের সব সুবিধা সাধারণ মানুষ যেন পায় আমরা সেদিকে লক্ষ রেখেই কাজ করছি।