বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল রোববার ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
যদিও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ শনিবার ঢাকায় সমাবেশ করার কথা ছিলো দলটির। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আগামীকাল সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজভী বলেন, নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে অথবা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ২টায় বিএনপি’র উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা ইতিমধ্যে পুলিশের নিকট আবেদন করেছি- উল্লেখিত দু’টি স্থানের মধ্যে যেকোন একটিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন।
শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জীর সাক্ষাৎ কেবলমাত্র শাড়ী আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য দূরে থাক, কোন হিস্যাই পাওয়া যায়নি। ফেনী নদীর পানি বিনিময় ছাড়াই উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল উষর মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। সেচ মৌসুম চলছে অথচ এখনই নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ অন্যান্য এলাকায় সেচের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে কোন আলোচনাই করেননি।
রিজভী আরও বলেন, গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন- মানুষ বিমানে চড়তে পারে না, আর আমি বিদেশ থেকে বিমানে পিয়াজ নিয়ে আসছি। অবৈধ সরকারের গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের মুখে এ ধরণের কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যই শোভা পায়। জনশ্রুতি আছে- ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই নাকি বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লোপাট চলছে। পিয়াজের যখন ভয়াবহ সংকট চলছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যখন নিয়ন্ত্রণহীন তখন তার দেখা মেলে না। গতকাল হঠাৎ হাজির হয়ে তিনি উদ্ভট মন্তব্য করলেন। তার এ ধরণের বক্তব্য জনগণের সঙ্গে ইয়ার্কি ছাড়া কিছু নয়।