ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি। আজ সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম ইউসুফ আলী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও উত্তরের সভাপতি মো. ওবায়দুর রহমান অটলসহ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। সারা শরীর ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন। হাত-পা নাড়াতে পারছেন না।
উনাকে কোন প্রকার চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছে না। গত ৮দিন তার কাছে কোন চিকিৎসক যাননি। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে। হত্যা করতেই তার কোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। সুচিকিৎসার অভাবে প্রাণহানির পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
রিজভী বলেন, আমরা মনে করি, এই মিডনাইট সরকার গভীর নীলনক্সা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার চাহিদামত চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ দিচ্ছে না। তার প্রাপ্য জামিনে সরাসরি বাধা দেয়া হচ্ছে। নগ্নভাবে আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার জীবন এখন সংকটাপন্ন। আমি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।
রিজভী আরও বলেন, পিয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের কারণে কেজি দেড় শতকের পর ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছে। সর্বশেষ গতকাল যোগ হয়েছে আরও ৪০ টাকা। ২৪০ টাকা ছাড়িয়েও থামেনি দাম। দাম আর কতো বাড়বে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। বরং সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী যেদিন বললেন বাজার নিয়ন্ত্রণে, তার পরদিনই এক লাফে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে যায় কেজিতে। মন্ত্রীর বক্তব্যের পর পিয়াজের দাম আরও বেড়ে গেছে। তাদের বক্তব্য সিন্ডিকেটকে উস্কে দিচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতবছর থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ পিয়াজ দেশে আছে তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে এভাবে লাগামহীনভাবে পিয়াজের দাম বাড়ছে কেন? রাজধানীর খুচরা বাজারে,পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে পিয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ মনে করে পিয়াজ নিয়ে যে সিন্ডিকেট লুটতরাজ করছে তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন কোন মন্ত্রী-এমপি সরাসরি জড়িত। এ কারণে পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে বিভ্রান্তিমুলক কথাবার্তা বলছে। অবিলম্বে আমরা ব্যর্থ মন্ত্রীদের পাশাপাশি সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।