কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ): গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি, পোল্ট্রি শেড বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজারো গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের গাছ উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে সেকেল হাওলাদার (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। সেকেল হাওলাদার উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত হাসান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কোটালীপাড়ায় বুলবুলের তাণ্ডব শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব চলে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আমি এলাকার লোকজন নিয়ে সড়কগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার জন্য চেষ্টা করছি।
কুরপালা গ্রামের দিনমজুর আকলিমা বেগম, জামিল হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার, রুহুল সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমাদের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে।
মাঝবাড়ি গ্রামের পোল্ট্রি খামারি ইমরান দাড়িয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমার মুরগির খামারের শেডটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধার-দেনা করে আমি এই খামারটি করেছিলাম। আমার খামারে ৬ হাজার মুরগি ছিল। খামারের অনেক মুরগি মারা গেছে। আমার ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো সহযোগিতা না পাই তাহলে আমার পথে বসতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মতর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে কোটালীপাড়ায় সেকেল হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধের নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ছাড়া এ উপজেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি, পোল্ট্রি শেড বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজারো গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ করছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করব।
