ডেস্ক | সড়কে দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক নয়, পথচারীদেরও দায় আছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীদের আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, কাউকে অধৈর্য হলে চলবে না। ধীরে-সুস্থে, দেখে শুনে রাস্তা পার হতে হবে।
আজ রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে অহেতুক পরিবহনের আকার বাড়ানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তায় পরিবহন চলাচলের জন্য কতটুকু জায়গা লাগবে, তা সায়েন্টিফিকভাবে তৈরি করা হয়। কিন্তু অনেকেই সিট বাড়ানোর জন্য পরিবহনের আকার বাড়ায়। এটা বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক ড্রাইভার অতিরিক্ত সময় ধরে গাড়ি চালান। এভাবে টানা গাড়ি চালিয়ে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের ঝিমুনি আসে।
আর এসব কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ড্রাইভারদের উচিত অতিরিক্ত সময় ধরে গাড়ি না চালানো। এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ওভারটেক, এসব কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গাড়ি চালান এবং যারা চড়েন তাদের দুজনেরই দায়িত্ব আছে। চালকদের উচিত সচেতন হয়ে গাড়ি চালানো। আর যারা যাত্রী রয়েছেন, তাদেরও সচেতন হতে হবে। কেউ বাসে বসে যেন জানালার বাইরে হাত বের করে না রাখেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হবে। কিছু কিছু অসাধু পরিবহন মালিক অধিক লাভের আসায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি কোনোমতে রংচং মেখে রাস্তায় ছাড়ে। এগুলো করতে দেয়া যাবে না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা সারাদেশে চার লেনের রাস্তা করার ব্যবস্থা করছি। ইতিমধ্যে অনেক সড়ক চার লেন হয়ে গেছে। যাতে দুর্ঘটনা কমে, সেভাবে কাজ করছি। প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছিলাম কিছুটা। এবার আর সেটা নেই। সব পরিবর্তন হবে যান চলাচলে। এমনকি চালকদের বিশ্রামের ব্যবস্থাও করছি। ইতিমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে চালকদের বিশ্রাম এবং উন্নত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো আমরা।