ঢাকা:জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী ইজিবাইকের সংঘর্ষে সাদিয়া আক্তার নামের দেড় বছর বয়সের এক শিশু ও মোটরসাইকেল আরোহী রিয়াদ মাহমুদ (১৭) নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরো চারজন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ও একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের মিলন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সাদিয়া আক্তার মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের উত্তর জোড়খালী গ্রামের কৃষক মহির উদ্দিনের মেয়ে ও রিয়াদ মাহমুদ (১৬) একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহাম্মেদের ছেলে। সে স্থানীয় মুসলেমাবাদ ওয়াছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়তো। রিয়াদ মাহমুদ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে একই মোটরসাইকেলে জামালপুরে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের মিলন বাজার এলাকায় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইজিবাইকটি উল্টে পড়ে যাত্রী আশামণি বেগমের কোলে থাকা এক বছর বয়সের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয়রা একটি লেগুনা গাড়িতে করে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল বারী গুরুতর আহত রিয়াদ মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন ও তার বন্ধু লেমন সরকারকে (১৭) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করেন। মোটরসাইকেলের অপর একজন আরোহী জামালপুর পৌরসভার বনপাড়া এলাকার মো. ফরিদের ছেলে সিফাত (২০) এবং ইজিবাইকের যাত্রী গুনারীতলা ইউনিয়নের উত্তর জোড়খালী গ্রামের কৃষক মহির উদ্দিনের স্ত্রী আশামণি বেগম (২৭) ও তার ছেলে সাব্বির হোসেন ঝন্টু (৬) জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে এ দুর্ঘটনার পর মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। মরদেহ তাদের পরিবারের স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’