গাজীপুরে রাত হলেই উজ্জ্বল হয় জলসা ঘর কিন্তু আলো ছড়ায় না যে!

Slider গ্রাম বাংলা বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর: ক্যাসিনো। একটি শব্দ। এটি এখন চাওড় হয়ে আছে বাংলাদেশে। তবে বিদেশে এই শব্দের অনেক পরিচিতি থাকলেও বাংলাদেশে চাওড় হচ্ছে নতুনরুপে। যদিও ক্যাসিনো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে চলছে। আভিধানিক অর্থ যাই হউক, সাধারণ মানুষ মনে করে, জুয়া, মদ ও নারীর সমারোহে যে উৎসব হয়, সেটার পশ্চিমা স্টাইলের নাম ক্যাসিনো। মানে হল, আমরা জুয়া ও মদের আসরে নারীর ব্যবহার করা উৎসবটিকে ক্যাসিনো মনে করছি। আর এই ক্যাসিনো শুধু রাজধানী ঢাকা ও চট্রগ্রামেই নয় গাজীপুরেও থাকতে পারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়. গাজীপুর জেলায় অসংখ্য রিসোট, বাগানবাড়ি, ক্লাব ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। শিল্প রাজধাানী হিসেবেখ্যাত গাজীপুর জেলায় অবস্থিত এই সকল স্থাপনায় প্রায়ই অভিযান হয়। অভিযানে মদ, নারী ও জুয়ার সামগ্রী উদ্ধারও হয়।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধরণের উদ্ধার অভিযান প্রায়ই হয়। তবুও চলে এই ব্যবসা। সরেজমিন ঘুরলে দেখা যাবে, গভীর অরণ্যের মধ্যে প্রকৃতিঘেরা অন্ধকারাচ্ছন্ন রিসোট বা বাগানবাড়ি। এই সকল স্থানে শুধু অন্ধকার গ্লাসের গাড়ি যাওয়া-আসা করে বলে স্থানীয়রা দেখেন। কিন্তু ভেতরে কি হয়? তা সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়।

গোপন সূত্র বলছে, অনেক রিসোট ও বাগান বাড়িতেই চলছে ক্যাসিনো। তবে ওই সকল স্থাপনার মালিক বড় মাপের লোক হওয়ায় কেউ কিছু বলছে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই রয়েছে এই ধরণের অনেক রিসোট। দিনের বেলায় যাই হউক, রাত হলেই নেমে আসে ক্যাসিনো দৈত্যেরমত। এই বিষয়গুলো ওপেন সিক্রেট হলেও অজ্ঞাত কারণে কেউ কিছু বলছেন না। কারণ সাংবাদিকেরা লিখতে গেলেই মামলা রেডি। সুতরাং সহজে কেউ কিছু লিখতে চায় না।

সচেতন মহলের দাবী, আর যাই হউক, রাজধানীর পাশাপাশি মফস্বল এলাকায়ও অভিযান দরকার। আর এই অভিযান হলে কিছু দিন হলেও ক্যাসিনো থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *