সাভার: সাভারের আশুলিয়ায় এক গার্মেন্টকর্মী গণধর্ষণ ও এক তরুণী ধর্ষনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট ভূইয়াপাড়া মহল্লার ফজল ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ভাড়া বাড়ি এবং একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় আজ সকালে ভুক্তভোগী দুই নারীকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টকর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শেরপুর জেলার সদর থানার সাতমাড়িয়া গ্রামের মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে কাইয়ূম ও পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মুসোরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তুহিন আলম । এছাড়া তরুনীকে ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত অপরজন হলো গাড়ি চালক শারফিন (৩২) পুলিশ জানায়, উত্তর গাজীরচট এলাকার ফজল ভূঁইয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া এক গার্মেন্টকর্মীকে গত তিন মাস ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো স্থানীয় কাইয়ূম নামে এক বখাটে। কিন্তু গার্মেন্টসকর্মী তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ির ম্যানেজার তুহিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পণা আঁটে কাইয়ূম। পরে সোমবার দিবাগত রাতে ওই নারী শ্রমিক নিজ কক্ষ থেকে বের হলে কৌশলে তার মুখে রুমাল দিয়ে অচেতন করে ওই বাড়ির অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায় কাইয়ুম। পরে কাইয়ুম ও তুহিন মিলে ওই নারীকে রাতভর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক বিষয়টি জানিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই অভিযান পচিালনা করে দুই ধর্ষককে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে উত্তর গাজীরচট এলাকায় এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে ফজল ভূঁইয়ার মালিকানাধীন একটি পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণ করে গাড়ি চালক শারফিন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গাজীরচট এলাাকয় অভিযান চালিয়ে শারফিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ এবং এক তরুনীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।