গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ বাড়লেও প্রথম পাঁচ মাসে ঘাটতি দাড়িঁয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যদিও রাজস্ব আদায়ে প্রতিষ্ঠানটি ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্রথম পাঁচ মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্য্ন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ৪৭ হাজার ৭২০ কোটি টাকা।
যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। তবে প্রথম চার মাসে ২ হাজার ১৪১ কোটি টাকার ঘাটতি থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ওই সময়ে ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশী রাজস্ব আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বছরের শুরু থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আদায় করতে সক্ষম হলেও এ পর্যায়ে প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে যাওয়ায় বছর শেষে বড় ধরনের ঘাটতির মুখোমুখি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রধান তিনটি খাতের মধ্যে আয়কর ও আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ের শুল্ক খাতে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা আদায় করতে পারলেও ঠিকই পিছিয়ে আছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট খাত।
নভেম্বর মাস পর্য্ন্ত ভ্যাট (মূসক) খাতে রাজস্ব সংগ্রহ কমে যাওয়ায় বড় ধরনের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না। ওই সময়ে ভ্যাট থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে এনবিআর। যদিও জুলাই থেকে অক্টোবর পর্য্ন্ত মূসকে প্রায় ২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল।
মূসকে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ার মূল কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এনবিআরের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মোবাইল ফোন, সিগারেট এবং অন্যান্য খাত থেকে কাঙ্খিত মূসক আদায় না হওয়ায় এই খাতে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
তবে আয়কর ও শুল্ক খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে আয়করে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ শতাংশ। আর শুল্ক খাতে গত বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করেছে। অর্থ্যাৎ প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এ বিষেয়ে এনবিআরের সদস্য মো. বশির উদ্দিন বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, লক্ষ্য পূরণে কোনো সমস্যা হবে না।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এনবিআর। এর মধ্যে মূসকে ৫৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আয়করে ৫৬ হাজার ৫৮০ কোটি, শুল্কে ৩৫ হাজার ৭২০ কোটি ও অন্যান্য কর বাবদ ৯২০ হাজার কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।