চুমু সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা যে মজার তথ্যটা দিচ্ছেন, তা হলো মুখের ত্রিশটি পেশিই ব্যবহার করতে হয় একটি চুমুর জন্য। আর একেকটি চুমুতে খরচ হয় ৬ ক্যালরি।
চুমু কি শুধুই চুমু? আসলে চুমু শরীর-মন ভালো রাখার একটি স্বর্গীয় নিয়ামক। চুমু হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়ক।
পাশ্চাত্যের তরুণ-তরুণীরা একটি খেলা খেলে থাকে। স্বল্প আলোয় একটি টেবিলে সবাই গোল হয়ে বসে। এরপর ঠিক টেবিলের মাঝে বোতল ঘোরানো হয়। ঘুরতে ঘুরতে বোতলটি যার দিকে তাক হয়ে থেমে যাবে, সে অন্য কাউকে চুমু খাবে। খেলাটা বেশ উদ্দীপক।
চুমু খাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। চুমুও এক আর্ট। যা সবাই পারে না। যারা পারে, তারা অনেক কিছুই জয় করতেও পারে।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই চুমু এক আলাদা গুরুত্ব বহন করে চলেছে। বিখ্যাত লেখক লানা সিট্রন তার এ কম্পেনডিয়াম অব কিসেস বইতে চুমুর বিশাল ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই কর্মটি শুধু ভালোবাসা পেতে বা দিতে নয়, বরং আজও অবধি বহু কঠিন লক্ষ্য হাসিলেরও এক মোক্ষম অস্ত্র।’
প্রাচীন রোমানরা যেকোনো চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করত চুমুর মাধ্যমে। আর ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে শুরু করে ক্রুশে, পায়ে, হাতে, আংটিতে- কোথায় নেই চুমু?
যদিও এখনো অনেক সমাজই চুমুকে সভ্যতার জায়গায় স্থান দিতে পারেননি। তাতে কি? মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রজাতি মানে গরিলারা কিন্তু তাদের সমাজে পুরোদস্তুর চালু রেখেছে চুমুর সংস্কৃতিকে। শিম্পাঞ্জিরা ফ্রেঞ্চ চুমুতে বেশ পারদর্শী। তাদের যৌন জীবনেও চুমু অপরিহার্য।
যাই হোক, চুমুর কিন্তু আরো কিছু মাজেজা আছে। যারা নিয়মিত চুম্বন করেন তাদের নাকি পেটের অসুখ কম হয়। এমনকি তাদের শরীরে সংক্রমণের মাত্রাও নাকি কম হয়।