ঢাকা: সাংবাদিক ও সংবাদপত্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষ হয় গতকাল সোমবার। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে বাধা কাটল নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. ইউসুফ আলী।
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে গেজেট প্রকাশের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে শুনানি হয়। আদালত আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ গতকাল শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করেন।
গত ৬ আগস্ট নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানি করেন। আর রিট আবেদনকারী নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. উজ্জ্বল হোসেন।
আইনজীবীরা জানান, চেম্বার জজ কোনো আদেশ না দিয়ে বিষয়টির ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। একই সঙ্গে ১৯ আগস্ট সোমবার দিন ধার্য করেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৬ আগস্ট ওই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। নোয়াবের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে শ্রম আইন অনুযায়ী অংশীজনদের আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত করা এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে সরকারের কাছে পাঠানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা কেন অবৈধ ও শ্রম আইনপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। ওই রুল এখনো বিচারাধীন।