শেরপুর জেলা শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক (প্রাঃ) স্কুলের ছাত্রীনিবাসে আনুসকা আয়াত বন্ধন (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই স্কুলের পরিচালক আবু তাহা সাদী, সাদীর স্ত্রী নাজরীন মোস্তারি, সাদির ভাই শিবলি নোমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে বন্ধনের বাবা আনোয়ার জাহিদ বাবু বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে বন্ধনের বাড়ি শ্রীবরদীতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে ছাত্রছাত্রীরা।
রবিবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে ছাত্রছাত্রী ও অংশগ্রহণকারীরা বন্ধন হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি তুলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হামিদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ ছালেহ প্রমুখ।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন জানিয়েছেন, সুরতহাল রিপোর্টে মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
মামলায় অভিযুক্ত ছাড়াও পারিবারির বিষয় বা প্রেম ঘটিত কোন বিষয় আছে কিনা সব দিক পুলিশ নজর রাখছে।
উল্লেখ্য, বন্ধন শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব ছনকান্দা গ্রামের আনোয়ার জাহিদ বাবুল মৃধার মেয়ে। জেলা শহরের ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছিল। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বন্ধনকে নিজ কক্ষে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে এক ছাত্রী। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত বন্ধনের পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।