ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বলেছেন, এ বাজেটে নেগেটিভ বিষয় বলে কিছু নেই। এটা জনবান্ধব পজিটিভ দলিল। অনন্য সাধারণ দলিল। তিনি বলেন, বিএনপি এ বাজেটের বিরোধিতা করবে- এটা তাদের আওয়ামী বিরোধী, শেখ হাসিনা বিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক। গত ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, বিরোধিতা করে আসছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বাজেট পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে। এবারও আমরা সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং বাজেট বাস্তবায়নে সচেষ্ট আছি।
মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যখনই বাজেট ঘোষণা হয় তখনই তারা বাজেটের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাবার্তা বলেন।
কিন্তু সরকার সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশতে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি (ফখরুল) নির্বাচন করে জয়ী হলেন, কিন্তু সংসদে যোগ দিলেন না। এটা তার নেগেটিভ রাজনীতির পরিচায়ক।
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢালাওভাবে বাজেটের বিরোধিতা করলে চলবে না। যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলতে হবে। মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে আমরা সেটা মানবো না। সব মহল বাজেট গ্রহণ করে যখন সাধুবাদ জানাচ্ছে তখন বিএনপি বিরোধিতা করছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা জনকল্যণমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ ও নব উদ্যোগ সৃষ্টিকারী বাজেট। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে যারা এক বছরের বাজটকে তুলনা করছেন তারা ভুল করছেন, ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কথা ছড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সুদূরপ্রসারী। নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ এমনকি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সালের কেমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই সে পরিকল্পনার কথাও আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন শক্তিশালী দেশ। এবারের বাজেটও টেকসই অর্থনীতির ভীত রচনার বাজেট।