হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ঝরোত ক্ষতিগ্রস্ত হইলে সরকার বেলে কতকিছু দেয়, আর মোর একনা থাকার ঘর, সেই ঘরটাও ঝরোত উল্টিগেলো মেম্বার চেয়ারম্যান কাও দেখির আইসে নাই। ১৫ দিন থাকি মানুষের বাড়িত আছুং।
এলাকাবাসী অনেক কয়টা বাশঁ দিছে ঘরটা ঠিক করব্যার কিন্তু টাকা পয়সা না থাকলে খালি বাশঁ দিয়া কি আর ঘর ঠিক করা যায়, তোমরায় কন। তোমরা তো সাংবাদিক মানুষ তোমরায় একনা মোর ঘরটা ঠিক করার ব্যবস্থা করি দেন বাহে।
এমন কান্না জনিত কন্ঠে এই প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ের ৩নং ওয়ার্ডের সতিরপাড় এলাকার মৃত: বাবু মিয়ার স্ত্রী কমলা বেগম (৫০)।
হতদরিদ্র কমলা বেগম ১ ছেলে (১৬) ও শ্বাশুড়ি সহ মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। রাস্তা বিহীন মাত্র কয়েক শতক জমির উপরে একটি ঘরে বসবাস করে আসছে এ পরিবারটি।
হতদরিদ্র কমলা বেগমের অভিযোগ, তিনি সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা পায়না।
যেখানে কিনা সরকারের বিতরনকৃত জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ঘর তারই সবার আগে পাওয়ার কথা, কিন্তু দেখাগেলো তার ক্ষেত্রে উল্টো।
এই হতদরিদ্র পরিবার গুলো যাতে তিন বেলা খেতে পারে এজন্য সরকার ভিজিডি’র চাল বিতরন করেন আর সেই ভিজিডি থেকে বঞ্চিত হতদরিদ্র পরিবারটি। কমলা বেগম স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পরও ১০ বছরেও মেলেনি তার বিধবা ভাতা।
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাঈদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি আবু সাঈদক কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি নজরে নিয়ে সহযোগীতা করার আশ্বস্ত করেন।