কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বহু মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি ছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ শাহ পরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইব্রাহিম শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লার ছেলে।
এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১১ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, নিহত ইব্রাহিম একজন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি।
তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন অপারাধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর ইয়াবার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে তিনি জানান যে, গত কয়েকদিন পূর্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে মিয়ানমার হতে এনে টেকনাফ সাবরাং ইউপিস্থ শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া ফিশিং বোট ঘাটের উত্তর পাশে ঝাউ বাগান সংলগ্ন বেড়ীবাঁধের পশ্চিম পাশে বালুর চরে রাখা হয়েছে। তবে চালানের বেশির ভাগ ইয়াবা বিক্রি করা হলেও এখনও কিছু মজুদ রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে তার নেতৃত্বে থানা হইতে অতিরিক্ত অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই দীপক বিশ্বাস, কনস্টেবল শাকিল, কনস্টেবল লিটু আহত হয়। তাৎক্ষণিক আমার নির্দেশে নিজেদের জীবন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশ ৩৮ রাউন্ড গুলি করা হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আমরা গুলি করা বন্ধ করে দিই। এ সময় ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রধারী মাদক কারবারিরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৩টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১১ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে গুরুতর অবস্থায় মধ্য রাতে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তীতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।