দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে খন্দকার ফাইহি ইলাহিকে তার স্বামী বাংলাদেশি প্রবাসী শিহাব আহমেদ সচেতন অবস্থায় খুন করেন বলে আদালতে দাবি করেছেন প্রসিকিউটর স্টিভেন হিউজেস। শুধু তাই নয়, এই আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, খুন করার আগে শিহাব আহমেদ ইসলামে পরকীয়ার শাস্তির কী বিধান রাখা হয়েছে তা দেখতে ইন্টারনেটে সার্চ করেন। খবর এবিসি.নেট.এইউয়ের।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সুপ্রিম কোর্টে খন্দকার ফাইহি ইলাহি হত্যার বিচার বিচারাধীন মামলার তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনকালে প্রসিকিউটর স্টিভেন হিউজেস এসব কথা বলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি নিবাসী স্বামী-স্ত্রী উভয়েই প্রবাসী বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, আদালতে ৩৫ বছর বয়সী শিহাব আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবানবন্দিতে বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি তার স্ত্রীকে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে ১৪ বার ছুরিকাঘাত করেন। তার দাবি, তিনি সে সময় মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
কিন্তু তার এই দাবির বিরোধিতা করেছেন প্রসিকিউটর। আদালতে আর্জিতে বলা হয়েছে, শিহাব আহমেদ তার সহকর্মী ওমর খানের সঙ্গে পরকীয়ার জন্য ‘তার স্ত্রীকে শাস্তি দিতে মনস্থির করেছিলেন’। এবং হত্যাকাণ্ডের আগে তার স্ত্রী এবং ওমর খানের মধ্যে মেসেজ বার্তা চালাচালির প্রমাণ পেয়েছিলেন শিহাব আহমেদ। তিনি হত্যার অভিপ্রায় নিয়ে কিংবা তার গুরুতর শারীরিক ক্ষতির উদ্দেশে ওই কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, হত্যার আগে ইসলামে পরকীয়ায় শাস্তির বিধান জানতে তিনি ইন্টারনেট অনুসন্ধান করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি আদালতে প্রমাণাদি উপস্থাপন করবেন বলেও আদালতকে জানান স্টিভেন হিউজেস।
এই আইনজীবী আরও দাবি, শিহাব যে তার স্ত্রীকে সচেতন অবস্থায় হত্যা করেছেন, তার আরও প্রমাণ পাওয়া হত্যা করার পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শিহাব লিখেন, ‘ যাক শেষ হলো’। এরপর তিনি একটি সিগারেট ধরান এবং ট্রিপল জিরো নম্বরে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, শিহাবের স্ত্রী ফাইহি ইলাহির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন ওমর খান। তিনি বলেন, শিহাবের স্ত্রীর সঙ্গে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে থেকে সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।