ঢাকা: ফায়ার ফাইটার সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুণ লাগার পর জীবন বাজি রেখে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিলেন সোহেল রানা। ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে সোহেলের শরীরে লাগানো নিরাপত্তা হুকটি মইয়ের সঙ্গে আটকে যায়। তিনি মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। এ সময় তার একটি পা ভেঙে যায়।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। দেশটির একটি হাসপাতালে সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দমকল কর্মী সোহেল রানা। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোহেল রানার মরদেহবাহী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, আজ সকালে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে সম্মান জানানো হয়েছে। বিউগলের সুর বাজিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পতাকায় মোড়ানো সোহেল রানার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফায়ার সার্ভিসের চৌকস দল।