ঢাকা:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আজ সোমবার কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যালটে ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়া ছিল। এরপর এই হলের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
কুয়েত মৈত্রী হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই অন্যান্য হলের মতো এখানেও ছাত্রীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। সাড়ে সাতটার দিকে নির্বাচনে প্রার্থীরা হল প্রভোস্টের কাছে তাঁদের সামনে ব্যালট বক্স খোলার দাবি করেন। তবে তাঁদের সামনে বাক্স খোলা হয়নি। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে হলে প্রক্টর আসেন। এরপর প্রক্টর ও হল প্রভোস্ট মিলে ব্যালট বাক্স হলের রিডিংরুমে নিয়ে যান। এরপর ছাত্রীরা গিয়ে রিডিং রুম থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পান।
হলের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নুরুন্নাহার কলি অভিযোগ করেন, তাঁরা একটি বস্তা পান। আরও কয়েকটি বস্তা ছাত্রলীগের কর্মীরা নিয়ে গেছেন। এসব ব্যালটে ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে ক্রসচিহ্ন বা ভোট দেওয়া ছিল।
প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সিল মারা ব্যালটের সত্যতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি।’
এ ঘটনার পর কুয়েত মৈত্রী হলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, এ হলে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী কমিটিতে তুলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।