ঢাকা: জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া গণফোরাম নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতাকে জানিয়েই তিনি শপথ নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত মনসুর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন।
দল গণফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলটির কয়েক নেতা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে সংসদ ভবনে মনসুর বলেন, ‘সকল কথার উত্তর আমি দেব না। আমি ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা কথা বলতে পারি—জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার নলেজেই আমি এটা করেছি।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান গণফোরাম থেকে জয়ী হন। দুজনেই সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার ইচ্ছে জানালে দল থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। গত মাসের শেষ দিকে আবার দুজনই আজ ৭ মার্চে শপথের কথা জানান। তবে গতকাল মোকাব্বির খান আজ শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কথা জানান। কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী সুলতান মনসুর শপথ নেন। আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (দল) তাদের সিদ্ধান্ত নেবে, আমি আমার ভূমিকা পালন করব। দল হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকুন। আর আমার ভূমিকার অপেক্ষায় থাকেন।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মনসুর গত নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে তিনি জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হন। নির্বাচনের আগে তিনি গণফোরামের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পান। নির্বাচনের পর থেকেই শপথ নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় নির্বাচনের পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের কোনো বৈঠকে অংশ নেননি এই নেতা।
প্রাথমিকভাবে জোটের মনোনয়ন না পেলেও শেষ মুহূর্তে সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থিতা বাতিল হলে সমর্থন পান মোকাব্বির। গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।