গাজীপুর: সৌদি দুতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টা ১ মিনিটে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে কারাগারের জেল সুপার মো. শাজাহান আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য কারাগার এলাকায় নেয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাইফুল ইসলাম মামুনের স্বজনরা কারাভ্যন্তরে তার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন।
কারাসূত্রে জানা গেছে, সৌদি দুতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদ- প্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মামুনের ফাঁসির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি লাল কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় কারাগারে এসে পৌঁছায়। এরপর ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। জল্লাদ রাজুকে প্রস্তুত করা হয় মৃত্যুদ-ের রায় বাস্তবায়নের জন্য।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারাঅভ্যন্তরে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শরীফুর রহমান, সিভিল সার্জন সৈয়দ মঞ্জুরুল হক।
পরে তাদের উপস্থিতিতে রাত ১০টা এক মিনিটে সাইফুল ইসলাম মামুনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর কারা ফটকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শাহজাহান আহম্মেদ। তিনি বলেন, খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনকে রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে আদালতের ফাঁসির রায় হওয়ার পর থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন।
ফাঁসির পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে সাইফুল ইসলাম মামুনের মরদেহ কাশিমপুর কারাগার থেকে তার গ্রামের বাড়ি বাগের হাটের খোন্তাকাটা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৫ই মার্চ ঢাকার গুলশানে কুটনৈতিক এলাকায় সৌদি দুতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে গুলি করা হয়। পরের দিন ভোরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় খালাফ আল আলী। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে গুলশান থানায় মামলা করে। ওই মামলায় ৫ জনকে ফাঁসির দ- দেন আদালত। পরে দ-প্রাপ্ত আসামীরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। পরে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদ- বহাল, ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদ- এবং একজনকে খালাস দেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মামুন বাগেরহাটের স্বরণখোলা থানার মধ্যে খোন্তাকাটা এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।