হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমিন সেবী, নারীনেত্রী ফিরোজা বেগম, ওয়ার্কাস্ পার্টির নারীনেত্রী চায়না বসুনিয়া, নবাগত নাজনীন রহমান, লাভলী বসুনিয়া
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে এলাকায় দোয়া চেয়ে পোস্টার লাগিয়ে প্রার্থিতার জানান দেন প্রার্থীরা।
সেই সঙ্গে তিনি এলাকায় লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। তবে থেমে ছিলেন না বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার।
তিনিও তফসিল ঘোষণার আগে থেকে উপজেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওই পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতবার অল্প ভোটে পরাজিত প্রার্থী চায়না বসুনিয়া এবার ২য় বারের মতো অংশ নিচ্ছেন। তিনি এলাকায় কোনো পোস্টার লাগিয়ে লোকজনের সঙ্গে দেখা করে দোয়া চাচ্ছেন।
আর ভোটাররা মনে করছে যে প্রার্থী ভোটে বিজয়ী হওয়ার পরে সব সময় কাছে থাকবেন, বিপদে পাশে থাকবেন, তাঁকেই তারা ভোট দেবে।
ওয়ার্কাস্ পার্টির চায়না বসুনিয়া বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু ভোট চাই। সুস্ঠ ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
আমি দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছি। এবার নির্বাচনে উপজেলাবাসীর দাবিতে আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি।
নির্বাচিত হলে এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মাদক নির্মূলসহ উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাব।
ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি আবারও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসা চাচ্ছি।
বিগত ৩০/৩২ বছর আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে উপজেলার নারী উন্নয়নে কাজ করেছি। যদি জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আমি জনগনের পাশে থাকতে চাই। ’
নবাগত নাজনীন রহমান বলেন, ‘আমি উপজেলা মহিলা লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন কালে মানুষের বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি, আমার মরহুম স্বামী কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সুবাদেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
আমি বিশ্বাস করি এ উপজেলার মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারন ভোটারদের ধারনা এবার হাতুরী, কলস, হাঁস প্রতীকের ত্রিমুখী লড়াই হবে।